রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
আমরা জনগনের পেয়ার চাই, কিন্তু পি আর নির্বাচন চাইনা: বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শামীম আহম্মেদ কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা )
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা জনগনের পেয়ার চাই, কিন্তু পি আর নির্বাচন চাইনা। পি আর কি তা জনগন চিনে না। এটা কি খায়, না মাথায় দেয় তাও জনগন জানে না।
আজ শনিবার বিকেলে তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ঢাকা—৩ আসনের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখার বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী সভাপতিত্বে সমাবেশে তিনি আরো বলেন, নারীদের ঘরে আটকে রেখে সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। যে নারী ঘরে বসে রান্নাবান্নার কাজ করবে, আজ সেই নারীরা দেশের সেনাবাহিনীর পোষাক পড়ে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। নারী পুরুষ সমান অধিকার। এই অধিকার এনে দিয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তিনি আরো বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মত নারীর ক্ষমতায়ন চাই। কিন্তু হাসিনার মতো নারী চাইনা। খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নয়, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগনের নেত্রী। ধর্ম ব্যবসায়ী হুজুরদের সমন্ধে বলেন, ওরা চাঁদা খায় না, ওরা খায় হাদিয়া। এইসব হুজুররা ব্যবসায় নেমেছে। তাদের খেয়াল রাখতে হবে। যদি ইউনুস সাহেব যথাসময়ে নির্বাচন না দিতে পারে, আওয়ামী লীগ দেশে এসে কাউকে রাখবে না।
সর্বশেষে গয়েশ্বর বলেন, উন্নয়নের মার্কা ধানের শীষ, জিয়াউর রহমানের মার্কা ধানের শীষ, আপসহীন নেত্রীর মার্কা ধানের শীর্ষ। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কা ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া ধরে রাখার আহ্বান জানান।
নারী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী মহিলার দলের সভাপতি মিসেস আফরোজা আব্বাস বলেন,শহীদ জিয়াউর রহমান নারীদের সম্মানের জন্য ১৯ দফার ১১ দফায় নারীদের অধিকার সম্মলিত করেছিলেন। খালেদা জিয়া বেগম রোকেয়া পুরস্কার গঠন করেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া নারীদের দাসত্ব মুক্ত করেছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করিয়াছেন। আগামীতে নারীদের ফ্যামিলি কাডের ব্যবস্থা করবেন।
তিনি আরো বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি একজন সুবক্তা। আমার স্বামী মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একটি জুটি। তারা বিএনপির পাশে সব সময়ই ছিল। তিনি আরো বলেন, যে নারী, নারীদের সম্মান দিতে পারেনা, যে নারী পালিয়ে যায় তার নেতৃত্ব আমরা চাই না।
জামায়েত ইসলামী সম্বন্ধে তিনি বলেন, বিগত দিনে তাদের আমরা রাজপথে দেখিনি, এখন কোথায় থেকে এরা এলো? দেশে ষড়যন্ত্রে থেমে নেই। আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা জেলা বিএনপি মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা খন্দকার ও সাংগঠনিক সম্পাদিকা নার্গিস হক। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের নেত্রী রাশেদা বেগম, আয়েশা বেগম, গুলশানারা বেগম প্রমুখ।